লাবণ্য রাণী পুজা, চকরিয়া :: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার প্রতিরোধকল্পে সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক নিরলস ভাবে দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। এরই আলোকে মাঠ পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সার্বিক তত্বাবধানে নিত্যদিন ভ্রাম্যমান আদালতও অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব থেকে আত্মরক্ষার্থে ঘরে থাকার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কক্সবাজার জেলাকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন এলাকায় দোকান খোলা রাখা, বিনা প্রয়োজনে অহেতুক বাইরে ঘুরাফেরা করা এবং জুয়া খেলার অপরাধের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১১জন ব্যক্তিকে ১৮হাজার ৫শত টাকা জরিমানা প্রদান করেছে।
বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তানভীর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তানভীর হোসেন চকরিয়া নিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রাদুর্ভাব থেকে আত্মরক্ষার্থে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্টেশন ও বাজার এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম এবং দোকানপাঠ, বাজার ও খেলার মাঠে জনসমাগম না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে সব শ্রেণী পেশার মানুষজনকে উদ্বুদ্ধকরণ করা হয়েছিল। তাছাড়া প্রয়োজন ছাড়া সকলকে ঘরের বাইরে বের না হতকিং করেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশ না মেনে চলার দায়, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা, নিয়মের বাহিরে কাজ করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
এসময় নির্দেশনা অমান্য করে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন এলাকায় দোকান খোলা রাখা, বিনা প্রয়োজনে অহেতুক বাইরে ঘুরাফেরা করা এবং জুয়া খেলার অপরাধসহ নানা দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১১জন ব্যক্তিকে ১৮হাজার ৫শত টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান
পাঠকের মতামত: